দেশের উত্তর অঞ্চলের একমাত্র দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলনে একের পর এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে নতুন মাইলফলক গড়ে তুলেছেন খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া- টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। জানা গেছে, খনি থেকে সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে নতুন মাসিক রেকর্ড গড়ার পর এবার প্রায়ই দৈনিক ৬ হাজারের অধিক মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে নতুন এই মাইল ফলক গড়েছে জিটিসি। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি দিনে ৬ হাজার মেট্রিক টনের উপর পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতি মাসেই মাসিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত রেকর্ড পরিমাণে পাথর উত্তোলনের পর এবার দৈনিক পাথর উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রত্যেক মাসেই একাধিকবার দৈনিক ৬ হাজারের অধিক মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করছে জিটিসি। ফলে দৈনিক উৎপাদানের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে এবং নতুন নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছে।
উল্লেখ্য যে, মধ্যপাড়া পাথর খনিতে দৈনিক পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। একমাত্র দেশীয় এই মাইনিং কোম্পানি জার্মানিয়া- ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) পাথর খনির দায়িত্বভার গ্রহণের শুরু থেকে খনি কর্তৃপক্ষের নানা ধরনের অসহযোগিতা, নানা প্রতিবন্ধকতা, দুষ্ট চক্রের নানামুখী অপতৎপরতা মোকাবিলা করে এবং খনি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জিটিসির পাওনা বিল প্রদানে গড়িমসি করে বিল আটকানোর পরেও প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকারের উন্নয়নে অবদান রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে আর্থিক সংকটের মাঝেও রেকর্ড পরিমাণে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। জিটিসি’র হাতে গড়া মাসিক এবং দৈনিক পাথর উত্তোলনের এই সব রেকর্ড খনির পাথর উত্তোলনের ইতিহাসে এক নয়া মাইল ফলক। মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন ও উন্নয়নের চুক্তি বদ্ধ হওয়ার পর জিটিসি খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিনত করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। ফলে লোকসানি এই পাথর খনিটি পর পর ৫ম বার লাভের মুখ দেখেছে। খনি সচেতন মহল মনে করছেন, সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে জিটিসি খনির উন্নয়ন এবং পাথর উত্তোলনের এই রেকর্ড অব্যাহত রাখতে পারবে এবং দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। জিটিসি কর্তৃক পাথর উত্তোলনের দৈনিক এবং মাসিক রেকর্ড নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে খনি এলাকাবাসী মনে করছেন। দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বেসরকারি সংস্থা জিটিসি খনিটি হাতে নেওয়ার পর উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছেন। এই পাথর দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।