বিয়ের বয়স মাত্র পাঁচ মাস। হানিমুনে নববধূকে গোয়া নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বামী। টিকিট বুকিং হতেই ঘোরার উত্তেজনায় দিন গুণতে শুরু করে দেন স্ত্রী। কিন্তু গোয়া নয়, স্বামী তাকে হানিমুনে নিয়ে গেলেন অযোধ্যায়। এই ঘটনায় ডিভোর্স চেয়ে সরাসরি আদালতে হাজির হয়েছেন স্ত্রী। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গেল শুক্রবার ভোপালের একটি পারিবারিক আদালতে এই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি ওঠে। জানা গেছে, মাত্র ১০ দিন হলো এই নবদম্পতি তাদের হানিমুন ট্রিপ থেকে ফিরেছেন। ভোপালের পিপলানি এলাকার বাসিন্দা এই দম্পতির বিয়ে হয় গত বছর আগস্ট মাসে। ওই নারী জানান, ‘আমার স্বামী আইটি সেক্টরে ভালো চাকরি করে। আমিও মাসে ঠিকঠাক রোজগার করি। ফলে গোয়া ট্রিপ আমাদের কাছে এমন কোনও বড় বিষয় ছিল না।’ আদালতে নারী জানিয়েছেন, তার স্বামী বিদেশে হানিমুনের যাওয়ার প্রস্তাব প্রথমেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বাড়িয়ে বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখভালের অজুহাতে দেশের মধ্যেই কোনো পর্যটন স্থলে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। স্ত্রী তাতে রাজিও হয়ে যান। এরপরই তারা গোয়া এবং দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার প্ল্যান করেন। এদিকে স্ত্রীকে না জানিয়ে গোয়ার বদলে অযোধ্যার বিমান টিকিট বুক করে ফেলেন স্বামী। অযোধ্যা এবং বারাণসীর গোটা ট্যুর প্ল্যানও করে নেন তিনি। এমনকী, হানিমুনে নিজের মাকেও নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ট্যুরে যাওয়ার ঠিক একদিন আগে স্ত্রী জানতে পারেন তারা হানিমুনে গোয়া নয় বরং অযোধ্যা-বারাণসী যাচ্ছেন এবং সঙ্গে যাচ্ছেন তার শাশুড়ি। হানিমুন ট্রিপ সেরে ফেরার ১০ দিনের মাথায় ডিভোর্স চেয়ে পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন নববধূ। তার অভিযোগ, স্বামী তার প্রতি যত্নশীল নন। বাড়ির লোককে বেশি গুরুত্ব দেন। এদিকে, কাউন্সেলিংয়ে ডেকে পাঠানো হলে স্বামী জানান, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যাধামে যাওয়ার আকাঙ্খা ছিল তার মায়ের। ফলে গোয়ার ট্রিপ বাতিল করে মাকে নিয়ে অযোধ্যার প্ল্যান করেন তিনি। সেই মতো টিকিটও কেটে ফেলেন তিনজনের। তার বক্তব্য, ‘আমার স্ত্রী একটি সামান্য বিষয় নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ঝামেলা করছে। শুধু শুধু একটি ঘরোয়া ইস্যুকে আদালতে টেনে এনেছে।’ ভোপাল পারিবারিক আদালতের আইনজীবী সাহিল অবস্তি জানিয়েছেন, এই দম্পতির কাউন্সেলিং চলছে বর্তমানে। তবে এই ইস্যুতে আদৌ কোনো সমাধান বেরোবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন দুই পারিবারই।