শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয় পোশাক শ্রমিক ববিতা ও অজ্ঞাত এক পুরুষ। বাসা ভাড়া নেয়ার দুই দিন পরে সেই ঘরেই মিলল ববিতার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ। তার মুখেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী পরিচয় দেয়া সেই পুরুষ। গত রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ববিতা আক্তার (২৫) গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থানার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় পলমল গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার আগের স্বামী ও সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। স্বামী পরিচয়দানকারী ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানায় কাজে না যাওয়ায় প্রতিবেশী সহকর্মী এক নারী ববিতার খোঁজ নিতে ঘরের সামনে এসে ববিতাকে ডাকাডাকি করে। ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় সন্দেহ হলে ঘরের জানালার গ্লাস দিয়ে ববিতার নিথর দেহ ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।
বাড়ির মালিক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। আগামী মাসের ১ তারিখ তাদের এই বাসায় ওঠার কথা। তবে ঘর ফাঁকা থাকায় তারা আগেই ওঠে। আজকে তাদের পরিচয়পত্র দেয়ার কথা ছিল। ঘরে ববিতার পরিচয়পত্র ও চেয়ারম্যান সনদের কাগজপত্র পেয়েছি। আর পুরুষের মোবাইল নাম্বার আছে। কিন্তু তার নাম জানি না।
আশুলিয়া থানার এসআই আবুল মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা নতুন বাসায় ভাড়া উঠেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বামী পরিচয় দানকারীর অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
