ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিশুদের ত্বকের যত্ন

শিশুদের ত্বকের যত্ন

শিশুর ত্বক অনেক সংবেদনশীল এবং নরম। শীতের শুষ্কতায় সেই ত্বক হারায় স্নিগ্ধতা ও পুষ্টি। একে তো শীতের বাতাস শিরশিরে ঠান্ডা, তার ওপর শিশুরা সূর্যের তাপ পায় কম। এই দুই বৈরী অবস্থা শিশুর ত্বকের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ, চর্মরোগ ও অন্য শীতকালীন রোগ পেয়ে বসে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে সঠিকভাবে তেল মালিশ করা খুবই কার্যকরী উপায়। আসুন দেখে নেই শিশুকে শীতল আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে পারে এমন ১০টি তেলের গুণাগুণ।

আমন্ড অয়েল : আমন্ড অয়েল ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ হওয়ায় শীতে মালিশের জন্য সবচেয়ে ভালো তেল। এই তেল শিশুকে শান্ত রাখে, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভালো ঘুমে সহায়তা করে। বাজারের সুগন্ধি আমন্ড অয়েল না কিনে সবসময় বিশুদ্ধ আমন্ড অয়েল বেছে নিন।

অলিভ অয়েল : শরীরে মালিশের জন্য অলিভ অয়েল সুপরিচিত। এটি শিশুর শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। সরিষার তেলে মেশালে এর কার্যক্ষমতা বাড়ে, তেলের তীব্রতা সহনশীল করে। শিশুর গায়ে র‌্যাশ কিংবা অন্য কোনো চর্মরোগ থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহার না করা ভালো।

টি-ট্রি অয়েল : টি-ট্রি অয়েল শিশুর গায়ে মালিশ করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এর ব্যবহারে শিশুর চর্মরোগ ও বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন অ্যালার্জিজাতীয় রোগ থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখে।

সরিষার তেল : আমাদের দাদি-নানিরা সব সময়ই বাচ্চাদের সরিষার তেল গায়ে মাখাতে বলেন। এই তেল ঝাঁঝালো ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তাই অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো। শীতে শিশুর জন্য এই তেল খুবই ভালো। কারণ এটি শরীর উষ্ণ রাখে, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে রাখে।

সূর্যমুখী তেল : এই তেল খুবই হালকা ও শিশুর ত্বক সহজেই শুষে নিতে পারে। এটি ভিটামিন ‘ই’সমৃদ্ধ। এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শীতকালে শিশুর ত্বকের সুরক্ষায় সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েল : এই ভারি তেলটি শীতকালে শিশুর ত্বকের শুষ্কতা ও ফেটে যাওয়া সারাতে ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি শিশুর চুল-নখেও ব্যবহার করা যায়।

ঘি : এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’ ও ‘ই’ রয়েছে। শিশুর শরীরে ঘি-এর মালিশ শিশুকে উষ্ণ রাখে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

ভেজিটেবল অয়েল : ভেজিটেবল অয়েল হালকা ধরনের তেল। শীতে মালিশের জন্য এটি র্কাযকরী। ভেজিটেবল অয়েল মালিশ শিশুর শরীর শান্ত ও উষ্ণ রাখে। ঠাণ্ডায় এটি আপনার শিশুর ভালো ঘুমের জন্যেও উপকারী।

নারিকেল তেল : নারিকেল তেল খুবই হালকা। শিশুর ত্বক সহজেই এই তেল শুষে নিতে পারে। শীতে মালিশের জন্য এতে চমৎকার উপাদান রয়েছে। এটি খুব বেশি তেলতেলে নয়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল গুণ শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী।

আয়ুর্বেদিক তেল : এই তেল মালিশে আপনার শিশু একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের তেল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপাদান পাবে। আয়ুর্বেদিক তেল শিশুর শরীরের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। এই তেল আপনার শিশুকে শীতের রুক্ষতা থেকে মুক্তি দেবে। রোগ প্রতিরোধ করে রাখবে উষ্ণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত