মালয়েশিয়ার ‘মিনি ঢাকায়’ অভিযান, বাংলাদেশিসহ আটক ৪৯০
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরে এক অভিযানে ৪৯০ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। শহরের ‘মিনি ঢাকা’খ্যাত জালান আমান পেরদানার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার লোকজন রয়েছে। তাদের অপরাধ, মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান ও সঠিক কাগজ না থাকা। বৈধ ভ্রমণ নথির অভাব ও নানা অপরাধের কারণেও বেশ কয়েকজন আটক হয়েছেন।
আটকদের বয়স ২০ থেকে ৫০ এর মধ্যে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম (ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া) শেষ হওয়ার পর তাদের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হবে।
দ্য স্ট্রেইট টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অবৈধ বিদেশিদের ধরতে এ অভিযান পরিচালনা করে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল বুকিত আমান অ্যান্টি-ভাইস, গ্যাম্বলিং ও সিক্রেট সোসাইটিস ডিভিশন (ডি-সেভেন) এবং জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ)। গত বুধবার মধ্য রাত থেকে জালান আমান পেরদানার মিনি ঢাকায় অভিযানটি শুরু হয়। খবরে বলা হয়েছে, ওই শিল্প এলাকার একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সম্পূর্ণটি বিদেশি শ্রমিকে পরিপূর্ণ ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই নথিভুক্ত ছিলেন না। কোনো বৈধ কাগজ না থাকলেও তারা শিল্প এলাকার অ্যাপার্টমেন্টগুলোর নিচে নানারকম ব্যবসা করে আসছিলেন।
অবৈধ বিদেশিদের ধরতে যৌথ অভিযানে যোগ দেয় ৩০০ সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা। অ্যাপার্টমেন্টের আটটি ব্লকের মধ্যে চারটিতে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এর আগে পুরো এলাকা রেকি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। দ্য স্ট্রেইট টাইমস বলেছে, পুলিশ অনথিভুক্ত বিদেশিদের আগমনের বিষয়ে তথ্য স্থানীয়দের অভিযোগ ও নানা উপাত্তের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল। এরপর গত এক মাস ধরে মিনি ঢাকা এলাকাটিতে তারা নজরদারি ও তদন্ত চালিয়ে আসছিল। গত বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অভিযানটি শুরু হয়। এ সময় বিদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগ ঘুমিয়ে ছিল। অভিযানের বিষয়টি টের পেতে তাদের সময় লেগে যায়, তাই তারা পালাতে পারেননি। অনেকে অবশ্য চেষ্টাও করে। কিছু লোক ওই অ্যাপার্টমেন্টের ছাড়ে উঠে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযানকারী বাহিনী আগে থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। আটক অনথিভুক্ত বিদেশিরা আশপাশের কারখানায় কাজ করা ও মিনি ঢাকাখ্যাত জালান আমান পেরদানার আবাসন ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ কাজে তাদের নিয়োগকর্তাদের মধ্যে কয়েকজনও জড়িত। স্থানীয়রা বলছেন, যারা আটক হয়েছেন তারা সাধারণত আমাদের বিরক্ত করে না। কিন্তু সমস্যা হলো তারা একটু অপরিচ্ছন্ন থাকে এবং তারা প্রকৃতপক্ষে এখানে অসংখ্য। কখনো কখনো মনে হয় তারা এখানে আমাদের (স্থানীয়) চেয়ে বেশি।