ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ট এক্স (সাবেক টুইটার) নানা কারণে সারাক্ষণ আলোচনায় থাকে। কখনো ইলন মাস্কের বিভিন্ন কঠোর সিদ্ধান্ত কখনো নতুন ফিচার। তবে এসবের কারণে ব্যবহারকারীরা বিরক্ত হয়েছেন বারবার। যার ফলে এক্সে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমেছে। তবে নতুন কারণে খবরের শিরোনামে এবার ইলন মাস্কের এক্স। যারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউবে তার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২৩.৬ কোটি। প্রত্যেক ভিডিয়োতেই কয়েক কোটি ভিউ হয়। ইউটিউবের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল জনপ্রিয় মিস্টার বিস্ট। যার আসল নাম জেমস স্টিফেন। এই আমেরিকান ইউটিউবার সম্প্রতি টুইটার (বর্তমানে এক্স) প্ল্যাটফর্মে প্রথম ভিডিও আপলোড করেছেন। প্রথম ভিডিও থেকে তিনি আয় করেছেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৫ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সমান। প্রমাণস্বরূপ অ্যাকাউন্ট অ্যানালেটিক্সের একটি স্ক্রিনশটও দিয়েছেন ইউটিউবার। এই অঙ্ক দেখে অবাক খোদ ইউটিউবারও। কেন এত টাকা আয় করেছে সেই কথাও জানিয়েছেন মিস্টার বিস্ট। তিনি জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনদাতারা দেখেছেন যে, ভিডিওটি অ্যাটেনশন পাচ্ছে তাই তারা সেখানে বিজ্ঞাপন যুক্ত করায়, প্রতি ভিউ-এ রেভেনিউ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর থেকে এক্স প্ল্যাটফর্মে একাধিক বদল করেছেন ইলন মাস্ক। পাল্টেছে মনিটাইজেসন পলিসিও। ক্রিয়েটরদের আহ্বান জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। সাধারণ ইউজারদের জন্য আনা হয়েছে ব্লু টিক বা পেইড ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন। মিস্টার বিস্ট এই ভিডিও পরীক্ষার জন্য আপলোড করেছেন। তিনি দেখতে চাইছিলেন ইউটিউবের তুলনায় কেমন পারফর্ম করে এই ভিডিও। সম্প্রতি ক্রিয়েটরদের জন্য ইউটিউবের সঙ্গে এক্সকে তুলনা করা শুরু হয়েছে। যদিও মিস্টার বিস্ট মনে করেন, এই তুলনা হয় না। ক্রিয়েটরদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিউবের সঙ্গে পারবে না এক্স। আর তারপর থেকেই এক্সে সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে মিস্টার বিস্টের ভিডিও যার শিরোনাম ‘১ ডলার গাড়ি বনাম ১.০০, ০০০, ০০০ ডলার গাড়ি’।