চাষে খরচ কম। দেখতেও সুন্দর। সাদা ফুলকপির চেয়ে পুষ্টিগুণও বেশি। শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এ ফুলকপি চাষ করা যায়। এমন রঙিন ফুলকপি চাষে লাখ টাকা আয় করেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদী গ্রামের কৃষক আবুল হাসিম। হলুদ ফুলকপি নিয়ে এরই মধ্যে কৃষকদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। জানা যায়, চন্ডিপাশা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম ভারত থেকে এ রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছেন। কয়েকটি ব্লকে এ বীজ পরীক্ষামূলক চাষের জন্য দিয়েছেন। রঙিন এ ফুলকপি চীনে সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। অন্য ফুলকপির মতো একই পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। খরচ একটু কম, তবে সময় একই। শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এ ফুলকপি চাষ করা যায়। স্থানীয় হাটবাজারে এর ব্যাপক চাহিদা। কৃষক আবুল হাসিম বলেন, ‘এই প্রথমবার বাড়ির পাশের ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। শুধু জৈব সার ব্যবহার করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছি। আমার সফলতা দেখে অন্যরাও আগ্রহী হতে শুরু করেছেন। রাস্তার পাশে জমি হওয়ায় ফুলকপির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই লোকজন আসে। পাইকাররাও জমি থেকে ফুলকপি কিনে নিয়ে যান। বীজসহ সব সহযোগিতা করেছে কৃষি অফিস। ২০ শতক জমিতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বিক্রি হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।’ কৃষকের ছেলে আকরাম হোসেন বলেন, ‘কৃষি আধুনিকায়ন হওয়ায় আমাদের মতো তরুণদেরও কৃষিকাজে আগ্রহ বাড়ছে। আমাদের জমিতে রঙিন ফুলকপির বাম্পার ফলনে অনেকেই আগ্রহী হয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। এলাকায় নতুন চাষ হওয়ায় কেউ কেউ হলুদ ফুলকপির সঙ্গে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন।’ পাকুন্দিয়া উপজেলার কৃষি অফিসার নূর-ই-আলম বলেন, ‘উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হেক্টর জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। রঙিন ফুলকপি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর এবং ভোক্তা পর্যায়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়। রঙিন ফুলকপি সাদা ফুলকপির চেয়ে পুষ্টি মানে অনেক এগিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বাজারে সাধারণ ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেশি দাম হওয়ায় এ ফুলকপি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আশা করছি আগামীতে উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ হবে।’