দিনাজপুর পৌরসভার ২২ কোটি টাকার বিল বকেয়া

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মোঃ সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে

দিনাজপুর পৌরসভার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো। এ অবস্থায় জেনারেটর চালিয়ে সব ধরনের সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে পৌরসভার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নেসকো। এনিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন নেসকো দিনাজপুরের প্রকৌশলী ফজলুর রহমান। নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, প্রায় সাড়ে ২২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল, তারা প্রতি মাসের চলমান বিল পরিশোধ করবেন। কিন্তু এতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, ‘আমি গত ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। এসময় নেসকো দিনাজপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। তাদের আমি জানিয়েছি, প্রতি মাসের চলমান বিল পরিশোধ করবো। সে কথা অনুযায়ী নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছি। গত ৩০ তারিখ আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে রংপুরে মিটিংয়ে থাকায় ৩১ তারিখ সকালে জানুয়ারি মাসের বিলের চেক দিই। কিন্তু তারা কোনো নোটিশ ছাড়াই ভোরে গোপনে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ও আমার প্রকৌশলীরা তাদের (নেসকো) সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ (৩১ জানুয়ারি ইস্যু করা) ১১ লাখ টাকার চেকটি গ্রহণ করার জন্য বলি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তারা চেকটি গ্রহণ করছেন না এবং বিদ্যুৎ সংযোগও দিচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে জেনারেটর চালিয়ে পৌরসভার সেবা সচল রেখেছি।’

‘বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে নেসকো দিনাজপুর-২ এর অফিসের জায়গার ভাড়া বাবদ ৩৩ কোটি টাকা পাবে দিনাজপুর পৌরসভা। সেটি তারা পরিশোধ করছেন না। কই আমরা তো তাদের অফিস বন্ধ করে দেই নাই’, বলেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব। মেয়র বলেন, দিনাজপুর পৌরসভার সাড়ে ২২ কোটি টাকার যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে এটি আমার দায়িত্ব গ্রহণ করার আগের। প্রায় ২৫ বছর ধরে এই বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। এ নিয়ে গত ২০ বছরে দিনাজপুর পৌরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো।