দাম্পত্য জীবনে কলহের জেরে বিয়েবিচ্ছেদ, নতুন কোনো ঘটনা নয়। আবার অনেক সময় স্বামী যদি বিয়েবহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, এর জন্যও ডিভোর্সের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। এবার দীর্ঘদিন ধরে গোসল না করার কারণে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চাইলেন এক নারী। গোসল না করার কারণে স্বামী গায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। এমন অভিযোগেই বিবেবিচ্ছেদ চান ওই নারী। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। খবরে বলা হয়েছে, স্বামীর নোংরা জীবনযাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ আঙ্কারার বাসিন্দা ওই নারী। এই ধরনের জীবনযাপন না করার জন্য দিয়েছিলেন একাধিকবার পরামর্শ। কিন্তু তার কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি স্বামী। নোংরা জীবনযাপনের জন্য এরপরই বিয়েবিচ্ছেদের মনস্থির করেন ওই নারী। সম্প্রতি স্বামীর নোংরা জীবনযাপনের অভিযোগ করে রাজধানী আঙ্কার একটি আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন স্ত্রী। পিটিশনে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। তার অভিযোগ, স্বামী কখনো গোসল করেন না। মাজেন না দাঁত। সপ্তাহের পাঁচ দিন একই পোশাক পরে থাকেন। দুর্গন্ধে তার আশপাশে যাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। কয়েক দিন আগে সেই মামলার হয়েছিল শুনানি। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর নারীর বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক। নোংরা জীবনযাপনের জন্য ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। সেই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রীকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। তুরস্কের মতো একই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের চন্ডৌস থানা এলাকায়। স্ত্রী নোংরা জীবন ধারণের জন্য বিয়েবিচ্ছেদ চেয়েছেন স্বামী। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। জানা গেছে, দুই বছর আগে আলিগড়ের কোয়ার্সি থানা এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল এক যুবকের। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন যেতে না যেতে দম্পতির মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। ওই যুবক আলিগড়ের একটি আদালতে বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন করেন। আদালতে তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী রোজ গোসল করেন না। গায়ে দুর্গন্ধ। তার জেরেই বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করেছিলেন স্ত্রী। তাকে হয়রানি করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।