রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নদী চরাঞ্চলে মিষ্টি আলু চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে লাভবানও হচ্ছেন কৃষক। উপজেলার করতোয়া নদী-সংলগ্ন ক’টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এ আলু সর্বাধিক চাষ হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলা বিশেষ করে চতরা, বড়আলমপুর ও টুকরিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি কম খরচে সেচ প্রদানের সুবিধার কারণে স্বল্প সময়ে বেশি ফলনে কৃষক আশানুরূপ মিষ্টি আলু উৎপাদনে সফল হচ্ছেন। এলাকার কৃষক জামাল মিয়া, জয়নাল হোসেন, খবির উদ্দিনসহ ক’জন কৃষকের মতে নদীর চরাঞ্চলে বন্যার পানি আসায় বালু চরের উর্বরতা বেড়েছে আর যে কারণে বেশ মিষ্টি আলু চাষ হচ্ছে। প্রতিটি মিষ্টি আলুর চারা থেকে ৯ থেকে ১০টি আলু হচ্ছে, যার ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজি। আর আলুর বাজারও বেশ সন্তোষজনক হওয়ায় কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছেন। এ চরে উৎপাদিত আলু বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, কন্দল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪০০ হেক্টর জমিতে কোকি-১৪, বারি-৭, ৯, ১২সহ কয়েকটি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চাষাবাদ করছে। এরই মধ্যে চাষিরা হাটবাজারে বিক্রি করছে। আবহাওয়া চাষিদের অনুকূলে থাকায় ফলন অনেকটাই ভালো হয়েছে। তাছাড়াও বাজারে মিষ্টি আলুর চাহিদা প্রচুর।