বীরগঞ্জে রঙিন ফুলকপি চাষে শামিমের বাজিমাত
আগ্রহ বাড়ছে অন্যদের মধ্যে
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন শামিম ইসলাম। তিনি বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকেন। এ বছর তিনি নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। এ বছর তিনি ২০ শতক জমিতে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। পেয়েছেন সফলতা।
কৃষক মো. শামিম ইসলাম জানান, টিভিতে রঙিন কপির ছবি দেখে তা চাষের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এজন্য তিনি বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে বীজ ও বিভিন্ন ধরনের সার নিয়ে কেরটিনা জাতের রঙিন ফুল কপির বীজ গ্রহণ করেন। ২০ শতক জমিতে চাষ করে। এসব বীজের চারাসহ ব্রকলি, ফুলকপির চারা করে ২০ শতক জমিতে রোপণ করেন। ক্ষেতে কোনো প্রকার কীটনাশক ও সার প্রয়োগ না করে কেবল জৈব সার ব্যবহার করেছেন তিনি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি এসব কপি বিক্রি করতে শুরু করছেন। বাজারে ক্রেতাদের রঙিন কপির প্রতি বেশ আগ্রহ থাকায় দামও ভালো পাচ্ছেন। বাজারে সাধারণ ফুলকপি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন কপি। এ জমি থেকে তিনি ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি অল্প জমিতে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন। শামিম ইসলামের এমন সফলতায় অনেকেই রঙিন কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। নিয়মিত পরিচর্যা এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারেই পেয়ে যান সফলতা।
তার ক্ষেতে বিদেশি জাতের রঙিন ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন। কেউ কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, রঙিন ফুলকপি ভেষজগুণ সম্পন্ন একটি সবজি। স্বাদেও ভালো। সাধারণ ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপিতে ২৫ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন রয়েছে, যা ত্বক ও চোখকে ভালো রাখে। এটি কোলাজেন ধ্বংস করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীরগঞ্জ উপজেলায় ২০ শতক জমিতে, রঙিন ফুলকপি, আবাদ প্রদর্শনী কৃষককে প্রদান করা হয়েছে। রঙিন ফুলকপিতে সাদা ফুলকপির তুলনায় অধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। রঙিন ফুলকপির বাজার মূল্য সাদা ফুলকপির তুলনায় অনেক বেশি। রঙিন ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারিত হলে কৃষকরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন। আগামী বছর অনেকে রঙিন ফুল কপি চাষ করবেন বলে তিনি জানান। প্রতিনিয়ত পরিদর্শনে আসেন দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ আবুরেজা মোঃ আসাদুজ্জামান।