ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আলোকিত বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশ

অবশেষে সেই পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশের মামলা

প্রমাণ মিলেছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার
অবশেষে সেই পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশের মামলা

ছয় মাস ধরে দিন-রাতে সরকারি পাহাড় কেটে নেয়ার ঘটনায় অবশেষে নিয়মিত মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তিনজনকে আসামি করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আবদুস সালাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলার বাদী পরিদর্শক মো. আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। গতকাল পর্যন্ত সেখানে ১ লাখ ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন যথাক্রমে বান্দরবান মৌজার লালমোহনবাগান এলাকার (বর্তমান- বাদশাঘোনা, কক্সবাজার পৌরসভা) চমশিম বমের মেয়ে মাঙাই বম প্রকাশ মেঘা, কক্সবাজার শহরের শীর্ষ পাহাড় কর্তনকারী মোহাজেরপাড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের পুত্র রবি আলম ও বাদশাঘোনা এলাকার লাল মোহাম্মদের পুত্র শাহজাহান। এছাড়া আরো দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘পাহাড় কাটার ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া একটি এজাহার এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করবে। পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘ছয় মাস ধরে পাহাড় কাটা চলতে থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর অনেকটা নিরব ছিল। শুরুতেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হলে পাহাড়টি রক্ষা পেত। আশা করি, দক্ষতার সাথে মামলাটি তদন্ত করে পাহাড় কর্তনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করবে।’

এর আগে ছয় মাস ধরে কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাদশাঘোনা এলাকায় নৌবাহিনীর সীমানা প্রাচীরঘেঁষে সরকারি পাহাড় কেটে আসছিলেন বান্দরবান মৌজার লালমোহনবাগান এলাকার চমশিম বমের মেয়ে মাঙাই বম প্রকাশ মেঘা, কক্সবাজার শহরের শীর্ষ পাহাড় কর্তনকারি মোহাজেরপাড়া এলাকার ফকির মোহাম্মদের পুত্র রবি আলমসহ কয়েকজন। গত দুই বছর ধরে বাদশাঘোনা এলাকায় একের পর এক কয়েকজন দখলদারের কাছ থেকে আনুমানিক ২০ শতক সরকারি পাহাড় কিনে নেন মেঘা। এরপর থেকে তিনি সেখানে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটা শুরু করেন। একদিকে পাহাড় কাটছিলেন অন্যদিকে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন। পাহাড় কাটতে গিয়ে তিনি সেখানে নৌবাহিনীর সীমানা প্রাচীরের বেইজ ভেঙে প্রাচীর ঘেঁষে পাহাড়ের মাটি কেটে নেন। এতে সীমানা প্রাচীরটি ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো সময় এটি ধসে পড়লে আশপাশের বসতি উচ্ছেদসহ নানা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হন এবং পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত