কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী মিনিবাসের সাথে ওষুধ কোম্পানির অপর একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। দূর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় জানা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিদের নামণ্ডপরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পরপরই আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌর সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উত্তর হারবাং লাল ব্রিজ-সংলগ্ন আরএফএল কারখানা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুইটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে একটি সড়কের পাশে বিলে এবং অপরটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকার মৃত নুরুল আলম মিস্ত্রির ছেলে কাভার্ডভ্যান চালক আব্দু শুক্কুর মুন্না (৪০), চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের জমিদার পাড়া এলাকার শামশুল ইসলামের ছেলে ও মিনিবাস চালক আবদুল মান্নান (৩৮), চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর এলাকার কবির আহমদের ছেলে বশির মিয়া (৩৫) ও চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে রুবিতা আক্তার (২৬)। তাদের মধ্যে বশির মিয়া ও রুবিতা যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহনের যাত্রী ছিলেন।
তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌর সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল হক ভূঞা বলেন, গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উত্তর হারবাং লাল ব্রিজ-সংলগ্ন আরএফএল কারখানা এলাকায় কক্সবাজার অভিমুখী স্কায়ার কোম্পানির ওষুধবাহী একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী ঈগল পরিবহনের অপর একটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুইটির সম্মুখভাগ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে কাভার্ডভ্যানের চালক আব্দু শুক্কুর মুন্না, ও মিনি বাসের যাত্রী বশির মিয়া এবং রুবিতা আক্তার নিহত হয়। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মিনিবাস চালক আব্দুল মান্নান। দুর্ঘটনায় আহতদের নামণ্ডপরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তবে তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পৌর সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিদর্শক মাহবুবুল হক ভূঞা আরও বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ডভ্যান ও বাস গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাস ও কাভার্ডভ্যানের হেলপার পলাতক রয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের নামণ্ডপরিচয় যেহেতু শনাক্ত করা গেছে সেহেতু আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনব্যক্তি নিহতের খবর পেয়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম। এ সময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় চারব্যক্তি নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এবং তাদের স্বজনদের সমবেদনা জানান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম।