দিনাজপুরে মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা রয়েছে
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আয়োজনে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। দিনাজপুরে চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী চালের দাম মাঝেমধ্যে অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে চাল ব্যবসায়ীদের ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করেন। ‘কয়েকদিন আগে নির্বাচনের সময় সরকার গঠনের অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে সুযোগ বুঝে লোভী ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়েছিল।’ সে সময় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলার জন্য চাল ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে চালের দাম বাড়িয়ে ছিলেন। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ‘ঘোড়ার ঘাস কাটে’ বলেও তিরস্কার করেন মন্ত্রী। মিলগেট মূল্য চালের বস্তায় লেখা থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী মিল মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আপনারা জানেন? মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই, মিনিকেট বলে কোনো চাল বিক্রি করতে পারবেন না। বস্তার গায়ে ধানের জাত উল্লেখ করতে হবে। মিল গেটে চালের রেট লিখতে হবে, উৎপাদনের তারিখ লিখতে হবে। আর ছাঁটাই কমাতে হবে। আমাদের প্রায় ১৬-২০ লাখ টন চাল আপনারা বাতাসে উড়িয়ে দেন। এতগুলো মিলের মধ্যে সিন্ডিকেট আছে, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে হ্যাঁ মিল মালিকদের মধ্যে কিন্তু সেরকম প্রবণতা আছে। যদি বলেন দিনাজপুরের দুই থেকে তিনজনসহ সারাদেশে ১০ থেকে ১২ জন, আছে তারাই এই সিন্ডিকেট করেন। ‘তারা নিজেদের মধ্যে মেসেজ চালাচালি করে বলেন, আজ এই দরে (চাল) বিক্রি করব, আর এই দামে ধান কিনব। তবে এটাও ঠিক, চাউলের ব্যবসার বিষয়ে আপনারা খুবই পারদর্শী এটা অকপটে স্বীকার করতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এনডিসি মো: ইসমাইল হোসেন, খাদ্য মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন, রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আশারাফুল আলম, দিনাজপুর জেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি মো: মোসাদ্দেক হুসেন, সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরী পাপ্পু, জহুরা অটোরাইস মিলের মালিক মো: আব্দুল হান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: কামাল হোসেন।