নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা মোটামুটি শান্ত হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক রয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকা থেকে মিয়ানমারের ভেতর থেকে আসা অবিস্ফোরিত আরো একটি মর্টারশেল উদ্ধার করেছে বিজিবি। গতকাল সকাল ৯টার দিকে তুমব্রু সড়কের ব্রিজ-সংলগ্ন অক্ষত অবস্থায় মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয়। এই পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্ত থেকে তিন দিনে তিনটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হলো।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকালে তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার ব্রিজের পাশে অবিস্ফোরিত একটি মর্টারশেল দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে বিজিবির বিওপিতে খবর দিলে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে বিজিবি। এ নিয়ে ঘুমধুম সীমান্ত থেকে গত দুই দিনে তিনটি মর্টারশেল উদ্ধার হল। এর মধ্যে একটি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ একটি দল নিষ্ক্রিয় করে। বাকি দুটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল নিরাপদ স্থানে রেখেছে তুমব্রু বিওপির সদস্যরা। তবে বাকি দুটি কখন নিষ্ক্রিয় করা হবে, সে ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ব্রিজ-সংলগ্ন মর্টারশেলটি দেখে বিজিবিকে খবর দেয়া হলে মর্টারশেলটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি বতর্মানে শান্ত তবে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টারসেলের পড়ে থাকায় স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘুমধুমণ্ডমিয়ানমার সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের সামান্য ভেতরে চলা আরকান আর্মি এবং সেনাবাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে ব্যবহারিত মর্টারশেল ও গুলি নিয়ম বহিবৃতভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে আসায় সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে মিয়ানমার থেকে আসা ওই মর্টারশেল গুলো অবিস্ফোরিত অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকায় এসে পড়েছে।