টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ইবাদত বন্দেগিতে সময় কাটান লাখো মুসল্লি। আজ রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমা। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদের ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিকে, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এর ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিরা আসবেন। এ কারণে তাদের সুবিধার জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া রোড হয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়ক, আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত এবং মিরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
ঢাকাগামী লোকজন ও যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে তিনশ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যেসব লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাবেন, তারা বাইপাইল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে চলে যাবেন। এদিকে, গতকাল শনিবার ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। তার বয়ানটি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করেন মুফতি ওসামা ইসলাম। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতের মাওলানা আব্দুল আজিম মোয়াল্লেমেরদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। যোহরের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শরিফ, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা মাহমুদুল্লাহ্। আসর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান বয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আজিম উদ্দিন। মাগরিবের নামাজের পর ভারতের মাওলানা মুফতি ইয়াকুব বয়ান করেন। তাৎক্ষণিক বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।