বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে তিন ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আরো চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
গত ২৯ জানুয়ারি আলালকে ও ৩০ জানুয়ারি আলতাফকে এসব মামলায় আইন অনুযায়ী জামিন আবেদন গ্রহণ করে নিষ্পত্তির আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে আলতাফকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি হাজির দেখিয়ে ও আলালকে সশরীরে হাজির করে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে এসব মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে রয়েছে। আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, মোসলেহ উদ্দিন জসীম, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ প্রমুখ আইনজীবী শুনানি করেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন মামলায় আলতাফকে গ্রেপ্তার দেখাতে ও ১৫ দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় তার নামে এসব মামলা করা হয়। মামলায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, রাস্তায় বেআইনি জমায়েত, সহিংসতা, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এসব মামলায় আলতাফকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি উল্লেখ করে গত ২১ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তার করা জামিন আবেদন গ্রহণ করতে রাজি হননি। পরে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আলতাফের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
অপরদিকে গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানার তিনটি ও পল্টন থানার একটি মামলায় আলালের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) এ আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে। এসব মামলায় সিএমএম আদালতে জামিন শুনানি করতে ব্যর্থ হয়ে আলালের পক্ষে পরে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রাজধানীর পল্টন থানার এক মামলায় ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে আলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি।