ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মা হত্যা মামলার রায়ে দম্পতির মৃত্যুদণ্ড

মা হত্যা মামলার রায়ে দম্পতির মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধ মা ফাতেমা খাতুন (৮৫) হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পুত্র ও পুত্রবধূকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার রেহাইশুরিবের গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুস সামাদ (৬৫) ও তার স্ত্রী রশিদা খাতুন (৬০)। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক কানিজ ফাতিমা এ মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি শামছুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর বৃদ্ধ ফাতেমা পুত্রবধূ রাশিদাকে নদীতে গোসল করানোর জন্য তাকে নিয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঝগড়া রশিদার ছেলের বউ রুনা খাতুন থামিয়ে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যার খাবার শেষে বৃদ্ধ ফাতেমা নাতি বউ রুনার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে এবং পৃথক রুমে ঘুমায় পুত্র ও পুত্রবধূ। ওইদিন রাতে রশিদা তার স্বামী সামাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বৃদ্ধা শাশুড়ি সংসারের বোঝা এবং কাজ না করে শুধু ঝগড়া করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্বামী-স্ত্রী। এ পরিকল্পনা মোতাবেক রাত সাড়ে ৩টার দিকে রশিদার পরামর্শে সামাদ তার মা ফাতেমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে পাশের ঘরে তাকে জোর করে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে সামাদ পা ধরে রাখে এবং রশিদা বটি দা দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। নিহতের গোঙানির শব্দে তার নাতি-বউ রুনা ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং তার গলাকাটা মরদেহে দেখতে পায় এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য তাকে হুমকি দেন স্বামী-স্ত্রী। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশের গভীর তদন্তে বেরিয়ে আসে নিহতের ওই পুত্র ও পুত্রবধূ গলাকেটে তাকে হত্যা করেছে এবং এ মামলা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত