পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি। ফলে দেশটির আগামীর প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন, তা নিয়ে দিনে দিনে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সরকার গঠন করার জন্য পর্যাপ্ত আসন রয়েছে শাহবাজ নেতৃত্বাধীন জোটের। শাহবাজ শরিফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়ালের পিপিপি’র নেতৃত্বে ছয় দলের একটি জোটের মোট আসন সংখ্যা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নির্ধারিত সীমা সহজেই অতিক্রম করবে। দেশটির নির্বাচন কমিশনের হিসেবে এমন তথ্যই ওঠে এসেছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এই খবর জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, জোটের ছয়টি দলের মোট সাধারণ আসনের সংখ্যা ১৫২টি হয়। এছাড়া, দলগুলোর সম্মিলিত সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট ৭০টি। এর মধ্যে নারী আসনের সংখ্যা ৬০টি এবং ১০টি সংখ্যালঘু আসন। সেগুলো নিয়ে জোটটির মোট আসনের সংখ্যা কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম ১৬৯টি আসন সীমা সহজেই অতিক্রম করবে। তবে দলগুলো ২২৪টি আসন অর্জনের জাদুকরী সংখ্যা অর্জন করতে পারবে কি-না তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এই সংখ্যক আসন অর্জন করতে পারলে জোটটি ৩৩৬ সদস্যের জাতীয় পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
পার্টির ঘোষণা অনুযায়ী, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা মজলিস-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমীন (এমডব্লিউএম) এর সঙ্গে যুক্ত হলে সংরক্ষিত নারী ও সংখ্যালঘু আসনগুলোতেও ভাগ পাবে। তবে এমডব্লিউএম খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে শুধু একটি আসন জিতেছে। তাই পিটিআই তখন শুধু সেই প্রদেশের নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টি সংরক্ষিত আসনের ভাগীদার হবে।
অন্যদিকে, পিটিআই নেতারা গত মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যালঘু দল মজলিশ-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে মিলে ফেডারেলের সরকারের পাশাপাশি পাঞ্জাবে সরকার গঠন করার চেষ্টা করবেন। দলটি বলছে, সরকার গঠনে তাদের প্রার্থীরা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জামাত-ই-ইসলামির (জেআই) সঙ্গে জোট গঠন করবে।