কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কারাগারে তাদের জামিননামা ও প্রডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ প- হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০ মামলা দায়ের করা হয়। তারা সব মামলায় এখন জামিনে রয়েছেন। এছাড়া গত বছরের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
