ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যমুনা থেকে বালু উত্তোলন

নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে

নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙন রোধে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করায় বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার খাষপুকুরিয়া থেকে চরসলিমাবাদ পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনার বাম তীর ভাঙনরোধে ‘নদীতীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয় এবং ২০২৩ সালের মাসের প্রথম দিকে এ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করা হয়। বর্ষার কারণে কয়েক মাস পরে এ প্রকল্প কাজ শুরু হয়েছে। এতে নদী পাড় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের সৃষ্টি হয়। এ প্রকল্প কাজ শুরু থেকে জিও ব্যাগে ব্যবহৃত বালু যমুনা নদী থেকেই উত্তোলন করা হয়। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ফের নদী ভাঙনের। এ কাজে ব্যবহৃত বালু যমুনা থেকে উত্তোলন করলেও তা ছিলো ডাম্পিং এলাকা থেকে অনেক দূরে। তবে কয়েক দিন ধরে ডাম্পিং কাজ এলাকার ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূর থেকেই বালু উত্তোলন করে ডাম্পিং কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে নদীভাঙন আতঙ্ক আরো তীব্র হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা বলেছেন, চরবিনানই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিটুয়ানি গার্লস স্কুলের মাঝামাঝি ও নদী তীর থেকে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূরে কয়েকটি বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহল তাদের সাথে মিলে রাতের আঁধারে বালু বিক্রি করছে এতে করে বর্ষার শুরুতেই ঝর্ণা ধরে জিও ব্যাগসহ তীরবর্তী স্থাপনা বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, যমুনা নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার দূর থেকে বালু উত্তোলন করার কথা। এ প্রকল্পের বালু ও জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের দায়িত্ব যাদের দেয়া হয়েছে তাদের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত