সাবেক ভিপি নূরের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আদালত অবমাননার অভিযোগে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন পেশ করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তবে তার এ নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করেনি হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে গতকাল এ আবেদন পেশ করা হয়। ভবিষ্যতে আদালত অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেবেন না- নূরের নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদনে এমন বক্তব্য না আসায়, এ বিষয়ে আলোকপাত করে আবেদন গ্রহণ করেনি উচ্চ আদালত। নূরের আইনজীবী নতুন করে আরেকটি আবেদন দেয়ার সময় চাইলে হাইকোর্ট সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন। এ সময় ভিপি নূর আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। আদালতের ভিপি নূরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জানান আদালত অবমাননাকর বক্তব্য বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে হলফ আকারে একটি বক্তব্য গতকাল পেশ করেন নুরুল হক নূর। তার লিখিত বক্তব্যে আদালত অবমাননা বিষয়ে ক্ষমার কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য কিংবা ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেয়া হবে না- মর্মে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। ভিপি নূরের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও এমন মনোভাব দেখা যায়নি। আদালত তার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার লিখিত আবেদন গ্রহণ করেনি। আদালতের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং অবমাননাকর কোনোরূপ বক্তব্য ভবিষ্যতে দেবেন না- এ মর্মে নতুন করে হলফ আকারে তাকে বক্তব্য দাখিল করতে হবে। পরবর্তী আদর্শের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল।
আদালত অবমাননার অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে এর আগে হাইকোর্টে তলব করে আদেশ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। সেই সাথে হাইকোর্টে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
নূরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে ধারাবাহিকতায় এই হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ নূরকে তলব করে আদেশ দেন।
বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। ওই দিন দুপুর ১২টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও করেন তারা। ওই সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেন নুরুল হক নূর। নুরুল হকের দেয়া বক্তব্য একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়।