ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি

দেড় মাস পর উত্তোলন শুরু

দেড় মাস পর উত্তোলন শুরু

দেড় মাস পর নতুন খননকৃত ১২০৯ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন আগেই কাজসম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধের ১ মাস ১৬ দিন পর আবারও নতুন খননকৃত ফেইজ ১২০৯ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশল মো. সাইফুল ইসলাম সরকার। খনি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টন পরবর্তীতে দৈনিক ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টন উত্তোলন হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহ করা হবে। ১৪১২ ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষে সকল ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ মেইন্টেন্যান্সকরণ এবং চীন থেকে আসা নতুন এক সেট পাওয়ার সাপোর্ট ১২০৯ ফেইসে ইন্সটলেশন শেষে এই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। এই ফেইসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় উত্তোলিত হবে। খনি সূত্র জানায়, ১৪১২ ফেইস থেকে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর কয়লা উত্তোলন শেষ হয়। ১৪১২ ফেইস হতে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ লাখ ৭০ হাজার মে.টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন (শতকরা ২৪ ভাগ বেশি)। ফেইসের যাবতীয় ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ শেষে খনির নিরাপত্তার স্বার্থে চলতি বছর গত ২৬ জানুয়ারি ফেইসটি সিল করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পিডিবির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুত রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ১ হাজার ৯০০ টন কয়লা ব্যবহার করছে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশল মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, সব মিলিয়ে পুনরায় উৎপাদনে যেতে দু’মাস সময় লাগে। কিন্তু আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগে মাত্র ১ মাস ১৬ দিনের মাথায় উৎপাদন শুরু করতে পেরেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত