নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার কখনো দেশ বিক্রি করার চুক্তি কারো সঙ্গে করেনি, করবেও না। ডিজিটাল সিস্টেমে মানুষের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আশাবাদী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্মার্ট ও উন্নত হবে। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেটে বসানো স্ক্যানার উদ্বোধন ও হস্তান্তর করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল দেশের প্রধান সমদ্রবন্দরে দুইটি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আরেকটি স্ক্যানার বসানো হয়েছে সিপিএআর গেটে। এসসয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে হবে। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর রপ্তানি পণ্যের জন্য দুইটি স্ক্যানার বসানোর খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন। বন্দরের সঙ্গে কাস্টমসের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। কয়েক বছরের অনেক সমস্যা ৩ থেকে ৪ বছরেই সমাধান হয়েছে, এটা বড় প্রাপ্তি। তিনি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত সময়ে মুনাফা লাভের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর হয়ে গেলে মেরিটাইম সেক্টরে আমরা অন্যরকম উচ্চতায় চলে যাব। বে-টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের জাহজ আসবে। ব্যস্ততাও বেড়ে যাবে। এর জন্য অবকাঠামো দরকার। প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর করেছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর করেছেন। মেরিটাইম সেক্টরে আমরা সি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে। ডেনমার্ক পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব আরও বিনিয়োগ করতে চায়। তারা মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। নৌ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বন্দরে স্ক্যানার বসাতে নির্দেশ দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই স্মার্ট গভর্ন্যান্স। এনবিআরের কাজে বন্দর সহযোগিতা করছে। ভবিষ্যতেও যদি সহযোগিতা দরকার হয় তখনো আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর প্রথম শ্রেণির কেপিআই। বিশ্বের ১০০ শীর্ষ বন্দরে আমরা ৬৭তম। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বন্দর এগিয়ে চলছে। প্রথমবারের মতো আধুনিক স্ক্যানার স্থাপন করেছি। বন্দরের পিসিটিতে সৌদিভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বে টার্মিনালের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। স্ক্যানার দুইটি কাস্টম হাউস অপারেট করবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রপ্তানি কনটেইনার জাহাজীকরণ সম্ভব হবে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আজিম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান জাহিদ রহমান, বন্দর সিবিএ নেতা নায়েবুর রহমান ফটিক প্রমুখ।