ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় মির্জা ফখরুল

শিগগিরই অংশ নেবেন দলীয় কর্মসূচিতে

শিগগিরই অংশ নেবেন দলীয় কর্মসূচিতে

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের আপাতত কিছুদিন বাসায়ই থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছে তার চিকিৎসা। তবে সুস্থ হয়ে শিগগিরই তিনি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। কারাগার থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল সরাসরি চলে যান গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, কারাবন্দি অবস্থায় মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার ওজন প্রায় ৬ কেজি কমে গেছে এবং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তিনি স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে গ্যাসস্ট্রোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে দেখেছেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন। ডা. জাহিদ আরো বলেন, এখন উনার শারীরিক অবস্থা ভালো। বাসায় থেকে উনার চিকিৎসা চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার একটি পরীক্ষার জন্য আবার তাকে হাসপাতালে যেতে হবে।

এদিকে কারামুক্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আব্দুল মঈন খানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা বিএনপি মহাসচিবের বাসায় গিয়ে দেখা করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কৃষিবিদ মো. ইউনুস আলী আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, স্যার (মির্জা ফখরুল) অসুস্থ। তিনি বিশ্রামে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে কি না, জানতে চাইলে ইউনুস আলী বলেন, আপাতত বাসায় থেকে চিকিৎসা নিবেন। সুস্থ হলে পরে জানতে পারবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল শিগগিরই দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন কি না, জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সুস্থ হয়ে কয়েকদিন পর অবশ্যই দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে তিনি (মির্জা ফখরুল) অংশগ্রহণ করবেন। আপাতত তিনি বাসায় বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্রমতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন দুপুরের আগে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সংঘর্ষের মধ্যে প- হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত