নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আবাসিক হলের রুমে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

গতকাল দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’ এর ব্যানারে যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‍্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং এর আগে যৌননিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সব অমীমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের দাবির মধ্যে দিয়েই আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট উন্মোচন করেছি। আমাদের দাবিগুলো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবি, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখার দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষতামুক্ত করার দাবি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। দাবি আদায় না করে টালবাহানা করার কোনো সুযোগ প্রশাসনের নেই।’

প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘র‍্যাব বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না, আমরা সবাই তা উপলব্ধি করছি শুধু আমাদের উপাচার্য তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।’

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিরাগত নিষিদ্ধ করতে পারলেও আশ্চর্যজনকভাবে ক্যাম্পাসে সাবেক শিক্ষার্থীদের অপরাধ দমন করতে পারেনি, তাদের প্রভাব ঠেকাতে পারেনি বরং প্রশাসন আমাদের চলমান আন্দোলনকে ক্রমাগত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই প্রশাসনকে ধিক্কার জানাচ্ছি।’