প্রচার প্রচারণায় মাঠে ৯ প্রার্থী যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি

সিরাজগঞ্জে জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ প্রার্থী ভোট প্রচার প্রচারণায় মাঠে নামতে শুরু করেছেন। অনেক প্রার্থী জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং বিশেষ কৌশলে ভোট প্রার্থনা করছেন। এবার এ নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন জানা যাবে এ নির্বাচনে কারা প্রার্থী থাকছেন। এ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিকবার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এবং ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পদত্যাগ করায় এ পদটি শূন্য হয়। এ কারণে বিধিমতে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে জেলার ৮৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ, সাতটি পৌর পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট প্রয়োগ করবেন। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা পিপি আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলী, শাহজাদপুর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান, কাজিপুর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিন মাস্টার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামছুজ্জামান আলো, জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী এমপির স্বামী শামীম তালুকদার লাবু, এপিপি শওকত আলী সেলিম ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন মুকুল।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আগামীকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং শুক্রবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আগামী ৯ মার্চ এ উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৬ জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরই মধ্যেই এ নির্বাচনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।