ঢাকার সাভারে বেদখল হয়ে যাওয়া খঞ্জনকাঠি খালের ১৫ শতাংশ সরকারি ভূমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল দুপুরে সাভারের মাঝিপাড়া সংলগ্ন বক্তারপুর এলাকায় এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন সাভার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাসেল ইসলাম নূর। গণমাধ্যমকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সাভারের খঞ্জনকাঠি মৌজার অন্তর্ভুক্ত খঞ্জনকাঠি খালের সরকারি জায়গায় কিছু দখলকারি অস্থায়ী স্থাপনা করে দখল করে রেখেছিল। এ অভিযানে ওইসব অস্থায়ী স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এর ফলে খঞ্জনকাঠি মৌজার ১নং খতিয়ানের ১৪৩ দাগের ১০ শতাংশ এবং ১৩৬ দাগের ৫ শতাংশ সহ মোট ১৫ শতাংশ সরকারি জায়গা উদ্ধার হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সাভারের বেদখলকৃত খাল-বিল ও অন্যান্য জলাশয় দখলমুক্ত করে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে এ সময় সাভার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার লুতফর রহমান, তহশিলদার আবুল কালাম আজাদ প্রমুখসহ অন্যান্য স্টাফগন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাভার মডেল থানার বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত তিন দশকের ব্যবধানে সাভার উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছোট ছোট খাল ও নালাগুলো আজ অস্তিত্ব হারিয়েছে। কিছু ব্রিজ ও কালভাট দেখলে বোঝা যায় যে, এক সময় এখানে খাল ছিলো এবং এখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই দশকে তিনটি খাল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে আর ৩৬টির নাম শুধু কাগজ-কলমে রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টিই অস্তিত্ব হারানোর পথে। সচেতন নাগরিক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত তদারকি ও আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি। এটা না করতে পারলে একসময় এসব খাল পুরোপুরি দখল হয়ে যাবে। এতে সাভারে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।