মহান ভাষা শহীদ দিবসে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠে। কেউ খোপায় বাহারি ফুল কেউবা কালো পাঞ্জাবি পরে মেলায় প্রবেশ করেন। আবার অনেকে সঙ্গে করে মেলায় নিয়ে এসেছেন শিশু-বাচ্চাসহ পুরো পরিবারকে। গতকাল বুধবার বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়। বড়দের সঙ্গে মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। স্কুলপড়ুয়া অনেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া শেষে ভিড় জমিয়েছে বইমেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আসা একজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় এসেছি। আজ সরকারি ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে জ্যাম কম। তাছাড়া সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মেলায় আসার সময়ও কম পাওয়া যায়।
মেলায় আসা আলমগীর হোসেন বলেন, সকালে বন্ধুরা মিলে এসেছিলাম শহীদ মিনারে ফুল দিতে। পরে সবাই প্ল্যান করে বইমেলায় এসেছি। অনেক স্টল ঘুরে দেখেছি; কিন্তু কোনো বই এখনো কেনা হয়নি। পছন্দের বই অনেক থাকলেও প্রতিটি বইয়ের দাম অনেক।
শফিউল্লাহ বাবু নামে আরেকজন বলেন, বইমেলায় এসে ভালো লাগছে। আমি সময় পেলেই মেলায় আসি। আজ বিকেলে বেশি ভিড় হবে। তবে সকাল থেকেই এত মানুষের ভিড় দেখে ভালোই লাগছে।
একটি প্রকাশনী সংস্থার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মেলায় দর্শনার্থী অনেক; কিন্তু ক্রেতা কম। অনেকেই আসছেন বই দেখছেন, পড়ছেন, ছবি তুলছেন কিন্তু কিনছেন না। এটা আমাদের জন্য তো দুঃখজনক বটেই, পাশাপাশি লেখক এবং সংশ্লিষ্টদের জন্যও নেতিবাচক একটা বার্তা। আমি আশা করব শুধু দেখা বা ছবি তোলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বই কিনুন, বই পড়ুন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। পৃথিবীটা হোক বইয়ের। বই বিক্রেতা বলেছেন, সকাল থেকেই মানুষের বেশ ভিড়। কিন্তু বিক্রি অনেক কম।
