কক্সবাজারের রামু ও ঈদগাঁও উপজেলায় গত দুই দিনে ১০টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়। ওই সময় ১০টি ইটভাটাকে ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী এসব ভাটাকে জরিমানা করা হয়। ইটভাটাগুলো হলো, দিবা ব্রিকস ২ লাখ, এস এম এ ব্রিকস ৪ লাখ ৫০ হাজার, আর এম এম ব্রিবস ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং আর কে সি ব্রিকস ২ লাখ টাকা। এরমধ্যে দিবা ব্রিকস এর চুল্লি ধ্বংস করা হয় এবং বাকি তিনটির আগুন নিভিয়ে দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত সোমবার দিনব্যাপী রামুর ধোয়াপালং এস.বি.এম ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ধ্বংস করা হয় ইট তৈরির চুল্লি। এছাড়া একই এলাকার বি.কে.বি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, খুনিয়াপালং এলাকার এসএসবি ব্রিকস ইউনিট-২ কে ৪ লাখ টাকা, এসএসবি ব্রিকস ইউনিট-১ কে ৩ লাখ টাকা, পশ্চিম মেরোংলোয়া আল হেরাম ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা ও এমকে ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভাটার আগুন নিভিয়ে দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। আরো বলেন, কক্সবাজারে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এসব ভাটাকে কার্যক্রম বন্ধে একাধিকবার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইটভাটা মালিকরা নির্দেশনা অমান্য করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তাই পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির, পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান, সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুস সালামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সূত্র মতে, কক্সবাজারে ৮৬ ইটভাটার ৪৬টি অবৈধ।