ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে বইমেলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ কিংবা আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়। মিয়ানমার সীমান্তে ইতিপূর্বে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, আশা করব সেই ধরণের পরিস্থিতির আবার উদ্ভব হবে না। ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। প্রতি বছর ৩৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে, অর্থাৎ প্রতি বছর এই সংখ্যাটা বাড়ছে। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরীষ তলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় ‘মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের ইতিপূর্বে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায়, আমরা সেই নিয়েই কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রসহ সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের সহায়তা কামনা করেছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সরকারের ওপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। সেজন্য ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের সাথে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। মিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা আবারো অভিযান চালাবে, অনেক রোহিঙ্গা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে, সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন ক’দিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে গিয়েছিলেন, সেখানেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সাথে আলোচনা করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের যে প্রতিনিধি দল আসছে, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীরতর করার ক্ষেত্রে সহায়ক। সেখানে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আমরা আলোচনা করব।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অমর একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন নাট্যকলায় সম্মাননা পাওয়া শিশির দত্ত ও কবিতায় সম্মাননা পাওয়া আবসার হাবীব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত