দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে গলাটিপে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার সময় বাসে দুপুর ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আবু জাহিদ মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদোওয়ান। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। লিখিত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্য দুপুর ৩টার ক্যাম্পাস বাসে উঠেন ভুক্তভোগী। সে একটা সিটে বসা ছিল তার পাশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রতন রায় বসেছিল। পরে রতন নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে পুনরায় সিটে বসতে আসে। এ সময় রতন ভুক্তভোগীকে পাশের সিটে সরে যেতে বললে ভুক্তভোগী এতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে রতন ভুক্তভোগীর গলাটিপে ধরে রাখে। সেই সঙ্গে রিহাব রেদোওয়ান ভুক্তভোগীর চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে আর ১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম বলে অভিযোগে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন অভিযুক্তরা। তাদের বিরুদ্ধে ঘটনা অতিরঞ্জিত করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা হেনস্তার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রতন রায় বলেন, যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি তার গলাটিপে বা চোখে আঙুল দেওয়া হতো তাহলে সেটার চিহ্ন থাকার কথা। অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে সে প্রমাণ দেখাতে পারবে?
ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বলেন, ওরা বাসে উঠে আমাকে সরে যেতে বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। একপর্যায়ে তারা আমার গলাটিপে ধরে, মুখ ও চোখে হাত দিয়ে ধরে রাখে। আমার মনে হয়েছিল আমি আর ৯-১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। প্রশাসন এখন ব্যবস্থা নিবে।