স্মার্ট সিটি গড়তে মসিক মেয়র প্রার্থী টজু’র ১৫ দফা ঘোষণা
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহ ব্যুরো
স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে ১৫ দফা নির্বাচনি ইশতিহার ঘোষণা করেছেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে হাতি প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মো: সাদেকুল হক খান মিল্কি (টজু)। এ সময় তিনি নগরীর নানা সমস্যা এবং তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে- মসিককে স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, হোল্ডিং ট্যাক্স সুসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং লাঘব করা, নগরীকে যানজট ও বায়ু দূষণমুক্ত করা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওভারব্রিজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ, জলাবদ্ধতা দূর করতে ড্রেনেজ সিস্টেম আধুনিক, প্রশস্ত ও উন্নত করা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি নির্মিতব্য স্টীল আর্চওয়ে ব্রিজকে বিবেচনায় নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা, ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করে নাব্য ফিরিয়ে আনা, নদের তীর দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, পরিকল্পিতভাবে পার্ক ও পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ, খেলাধুলা-চিত্তবিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার করার মাধ্যমে যুবসমাজকে মাদকসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ, শশীলজ, জয়নুল জাদুঘরসহ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ করা, নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পরিষ্কার ও জঞ্জাল মুক্ত করা, আনন্দ মোহন কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা ইত্যাদি। সংবাদ সম্মেলনে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু আরো বলেন, ১৮৬৯ সালে এপ্রিল মাসে ২ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনে নাসিরাবাদ মিউনিসিপিলিটি বা টাউনশীপ নামে আজকের এই ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের গোড়াপত্তন হয়। এটি ছিল উপমহাদেশের দ্বিতীয় মিউনিসিপিলিটি বা টাউনশীপ। এরপর ১৯০৫ সনে এটি জেলার নামে ময়মনসিংহ মিউনিসিপিলিটি হিসাবে নামকরণ করার পর ১৯৭২ সালে ময়মনসিংহ পৌরসভা নামে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তবে ২ দশমিক ১৫ বর্গকিলোমিটারের নাসিরাবাদ মিউনিসিপিলিটি বর্তমানে ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটারে এলাকা নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন গঠিত।
এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রায় একযুগের অধিক সময় ধরে ময়মনসিংহ পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের একজন ব্যক্তি দায়িত্বে আছেন। এই সময়ে দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হলেও সেসব উন্নয়ন থেকে আমাদের এই নগরী যোজন যোজন পথ পিছিয়ে আছে। ফলে নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে নগরবাসীর জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিণতি। এই অবস্থায় আগামী ৯ মার্চের নির্বাচনে স্মার্ট সিটি গড়তে আমি নগরবাসীর সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফারামার্জ আল নূর রাজীব, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খান, অ্যাডভোকেট বদরুদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আল হোসাইন তাজসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।