ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খাল নালার বর্জ্যমুক্ত করলেন চসিক মেয়র

খাল নালার বর্জ্যমুক্ত করলেন চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থান পরিণত হয়েছে আবর্জনার ভাগাড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এসব আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে খাল-নর্দমায় মিলছেন নানা আকারের পলিথিন। গৃহস্থলি বর্জ্য। বাথরুমের ভাঙা কমোড। পুরোনো লেপ-তোশক। মেডিক্যাল বর্জ্য। বর্জ্য দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সমানে। পানি আটকে গেছে। মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনের এ আবর্জনার স্তূপ প্রবর্তকের রুপালি গিটার চত্বরের পাশের নালার। গতকাল মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আসার ১০ মিনিটেই সাফ হয়ে গেল সব। অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী হামলে পড়েন আবর্জনার স্তূপে। একটি স্ক্যাবেটার রাখা হলেও তাৎক্ষণিক কাজে লাগানোর দরকার পড়েনি। নগরের প্রবর্তক মোড়ে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষ্যে এভাবে খাল নালা থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩৬টি খাল আছে নগরে। এগুলোর উন্নয়ন কাজ চলছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে। নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে। তিনি বলেন, যার সামনে ময়লা পাব, তাকে আইনের আওতায় আনব, জরিমানা করব। জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছি। মানুষ সচেতন না হলে আমরা কখনোই এ শহর পরিষ্কার রাখতে পারব না। জনগণ যদি সচেতন হয় বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। ভৌগোলিক কারণে পানি উঠবে। পলিথিনের জন্য জরিমানা অনেক দোকানিকে করেছি। এখন পলিথিনের কারখানার তালিকা করছি। অচিরেই এসব কারখানায় অভিযান চালানো হবে। চউকের সঙ্গে সমন্বয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্ল্যাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ। আমরা বলেছি, অন্ততপক্ষে খালের মাটি উত্তোলন করে দিতে হবে, পানি নিষ্কাশন যাতে হয়। এ সময় চসিক কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তাফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত