চট্টগ্রামে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্পে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেছেন, বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। এ শিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এরিক সোলেইমি বলেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পে চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে। ২০১০ সালে এ শিল্প দেখতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য। রাষ্ট্রদূত জানান, নরওয়ে এ শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছে। সরকারের সহযোগিতা দরকার। আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নরওয়ের জাহাজ মালিকরা আগ্রহী হচ্ছেন বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিং করতে। কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য ২০১৪ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু করি আমরা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আমাদের জানিয়েছিল ইয়ার্ডের উন্নয়ন করতে হবে। তখন আমরা গ্রিন সার্টিফিকেট পেতেও কাজ শুরু করি। ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পাই। এখন তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছি। গ্রিন ইয়ার্ড করার খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই ধরনের খরচ। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং আর্থিক বিনিয়োগ। আমরা যন্ত্রপাতি কিনেছি। জনবল প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ৩০ কোটি খরচ হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য পরিবেশ ও জনশক্তির নিরাপত্তা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে লোকাল মার্কেটে স্ক্র্যাপের ডিমান্ড কম। ডলারের সংকটে জাহাজ আমদানিও কম। এ সুযোগে বেশিরভাগ ইয়ার্ড ডেভেলপ হচ্ছে। কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ আইএসও সার্টিফাইড, এইচকেসি ২০০৯ কমপ্লায়েন্ট গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি ভুক্ত এবং হংকং কনভেনশন অনুসারিত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিভুক্ত। তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশে এ শিল্পে স্ক্র্যাপের পাত, টুকরা লোড-আনলোড করছি অটোমেটিক, ম্যাকানিক্যাল। ৭৮০ দিনে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সরকার থেকে সহযোগিতা দরকার। টিএসডিএফ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা করতে হবে। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার এরিক সোলেইমি, ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের সিনিয়র অ্যাডভাইজর মোরশেদ আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, পরিচালক আবদুল করিম দুলাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, ইয়ার্ড সমন্বয়ক নেভাল ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও টেকনিক্যাল সমন্বয়ক পার্থ সারথী গুহ।