জেলার ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বাইরে।
গতকাল দুপুরে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের কাছে ছয় দফা দাবিসহ একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। সেই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন আন্দোলনকারিরা। পরে বিচারের আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরে যান। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকরিচ্যুত করতে হবে, জড়িত অন্যদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনতিবিলম্ব পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা, ভবিষ্যতে এ ঘটনার বিরূপ প্রভাব না পরার নিশ্চয়তা প্রদান এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.সৌমিত্র শেখর বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কয়েকজন সহপাঠী আমার কাছে এসেছিল। ঘটনাটি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা কলে আসছে। এর মধ্যে ছাত্রীকে মধ্য রাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অঙ্ক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, শাড়ি পড়ে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছাত্রীর ছবি চাওয়া এবং ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গের ভিডিও লিংক শেয়ার করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার শিক্ষকের এসব অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে দিয়ে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।