বিনা টিকিটে ভ্রমণ ও ছাদে উঠা বন্ধ করা হয়েছে

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত রেলপথে মোট ১৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে মোট ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানান তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বিনা টিকিটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে উঠা বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ভ্রমণরত যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি নেয়া ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশন প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে মোবাইল কোর্ট পরিচালন করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিনা টিকিটের যাত্রী ও ট্রেনে ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে চলন্ত ট্রেনের কোচের অভ্যন্তরে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার জন্য এটেনডেন্ট, বিনা টিকিটে যাত্রীসেবা প্রতিরোধে টিটিই এবং ট্রেন পরিচালনায় গার্ড নিয়োজিত থাকেন। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো সময় ট্রেনের ছাদে অবৈধ যাত্রী পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি ও আরএনবি সদস্যরা তাদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।

এমপি মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ট্রেনে চেইন টেনে এবং হোস পাইপ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেন থামাবার ঘটনা বর্তমানে আর দেখা যায় না। চোরাকারবারীরা চেইন টেনে মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে পণ্য উঠানো-নামানোর ঘটনা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। এ সংক্রান্ত ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য রেলওয়ে পুলিশ, বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং সভার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করার কাজ অব্যাহত আছে। রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়ে অ্যাক্ট, ১৮৯০ হালনাগাদ করে খসড়া রেলওয়ে আইন, ২০২৪ প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান। উক্ত খসড়া আইনে ট্রেনের চেইন টানার শাস্তি বাড়ানোসহ অনিয়ম বন্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।