আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে উচ্ছ্বাস আর আনন্দের জোয়ারে ভাসছে নগরের বাসিন্দারা। এতে মিছিল, মিটিং ও গান-স্লোগানে চলছে প্রচারণা। সেইসঙ্গে লিফলেট হাতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অবিরাম কর্মকাণ্ডে ময়মনসিংহ এখন ভোটের কলরবে উৎসবের নগরে পরিণত হয়েছে।
সূত্রমতে, আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হবে এই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তের বিরামহীন প্রচারণায় প্রার্থীরা ছুটে চলছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
অপরদিকে ভোটাররাও আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে ভোটের দিনের। এতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলেই প্রত্যাশা করছেন নগরের বাসিন্দারা। জানা যায়, প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে গত বুধবার দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু নগরীর নগরের বিদ্যাময়ী স্কুল, কলেজ রোড, নওমহল, নাহারোড ও সানকিপাড়া এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ চালিয়েছেন। এ সময় তিনি উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও অসমাপ্ত রাখতে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থণা করেন। এতে ভোটারদের প্রকাশ্য সমর্থনে বেশ এগিয়ে রয়েছে সদ্য সাবেক মেয়র টিটু। এমনটাই মনে করছেন একাধিক ভোটার।
অন্যদিকে হাতি প্রতীকের প্রার্থী সাদেকুল হক খান টজু মিল্কি নগরের চরপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এহতেশামুল আলম নগরের ব্রিজ মোড়, র্যালির মোড়সহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করে চলছেন বিরামহীনভাবে। ফলে এদিন বিকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা পছন্দের প্রতীক হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল করে সমর্থন যোগাচ্ছেন প্রার্থীদের। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে নগরের অলিগলিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ পুরুষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন। তারা আগামী ৯ মার্চ ইভিএমে ১২৮ কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
এতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৪৯ এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী আছেন ৬৯ জন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে ৩২টি ওয়ার্ডে শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।