রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) গতকাল রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহ আলম মো. আখতার ইসলাম এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে।
গত ১ মার্চ রাতে রমনা থানায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করছিল।
তদন্তের শুরুতেই থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলের- ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিকেল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সিআইডিপ্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।