আশুলিয়ায় সড়ক ও জনপথের জমি ভরাটের অভিযোগ
নীরব ভূমিকায় সওজ
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আশুলিয়া প্রতিনিধি
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় সড়ক ও জনপথের জমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে সমরাজ আল মামুন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। জমি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সওজকে।
খোঁজ নিয়ে ও বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়ইপাড়া এলাকার সমরাজ আল মামুন নামের এক ব্যক্তির সওজের জমির পাশে তার সাড়ে ৬ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিতে মার্কেট নির্মাণ করতে সামনের বিশাল এলাকাজুড়ে সড়ক ও জনপথের জমি বালু ও মাটি দিয়ে ভরাট করেছে। এরই মধ্যে ভরাটের কাজও শেষের দিকে। মাটি ভরাট করতে গিয়ে সড়কের পাশে থাকা ১৯টি গাইডপোস্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেই কার্য শেষ করেছেন সওজ। থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও রাতের আঁধারে সেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে। এরপরও সড়ক ও জনপথ থেকে জিডি ছাড়া অন্যকোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, নবীনগর-ইপিজেড-কালিয়াকৈর (চন্দ্রা) এন ৫৪০ জাতীয় মহাসড়কের কবিরপুর এলাকায় চন্দ্রা অভিমুখী সড়কের বাম পাশে সমরাজ আল মামুন নামের এক ব্যক্তি সওজ থেকে কোন অনুমোদন না নিয়েই জমিতে অবৈধভাবে বালু ভরাট করছে। সরকারি জমি ভরাট করতে মৌখিকভাবে বারণ করা সত্ত্বেও কোনো কর্ণপাত না করে সরকারি জমিতে বালু ভরাট করছে।
এ ব্যাপারে সওজের জমি ভরাটকারী সমরাজ আল মামুন মুঠোফোনে জানান, সড়ক ও জনপথের জমির পাশেই তার ক্রয়কৃত জমি রয়েছে। ওই জমিতে যাওয়ার জন্য রাস্তা বের করছেন তিনি। আর গাইডপোস্ট ভেঙে গেলে তিনি তা লাগিয়ে দেবেন।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের পক্ষ থেকে থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। আমাদের সড়কের পাশে থাকা ১৯টি গাইডপোস্ট ভেঙে ফেলা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষাধিক টাকা।
এ ব্যাপারে নয়ারহাট উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানার এসআই শরিফ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় সওজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্তের জন্য কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সত্যাতা পেয়েছি। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপরও তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।