সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের আগমনি ওয়ার্ড থেকে শিক্ষার্থীকে গুলি করা সেই শিক্ষক ডাঃ রায়হান শরীফকে সাধারণ বন্দিদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে সাধারণ বন্দিদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। জেলা কারাগারের জেলার মোহাম্মদ ইউনুস জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, প্রতিদিন নতুন আসামি কারাগারে আসলে প্রথমে তাদের আগমনি ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানে ৩/৪ দিন অবস্থানের পর অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়ে থাকে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীও পায়ে গুলিসহ দুটি মামলার অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে প্রথমে কারাগারের আগমনি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। সকালে তাকে কারাবিধি অনুযায়ী সাধারণ বন্দিদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে তিনি নীরব অবস্থান করছেন এবং প্রয়োজন ছাড়া তিনি কারো সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন না। এছাড়া সাধারণ বন্দিদের জন্য যে খাবার দেয়া হয় তিনি সেই খাবারই খাচ্ছেন। নতুন স্থানে, নতুন পরিবেশে অবস্থান করতে সময় লাগবে। তবে তিনি কথাবার্তা কম বললেও এখন সুস্থ আছেন বলে মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডাঃ রায়হান শরীফ। তিনি সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের ভেতরে তুচ্ছ ঘটনার সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে লক্ষ্য করে গুলি করেন তিনি। এ ঘটনার পর তাকে কক্ষে আটকে রেখেছিলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে ৯৯৯ এ সংবাদে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরআগে তার ব্যাগ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৮১ রাউন্ড গুলি, ৪ টি ম্যাগাজিন, ২টি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় এবং ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলা দুটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। এর মধ্যেই ডিবি পুলিশ এ মামলা তদন্ত শুরু করেছে। এ তদন্তে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে এবং তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।