প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সেল গঠন করা হবে

প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। গতকাল রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি)-এর ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সেল গঠন করব। সেলের মাধ্যমে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান করা হবে। প্রবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। প্রবাসীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা করা হয়েছে, সামনে আরো করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে প্রবাসীরা কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, রেমিট্যান্সের গুরুত্ব অনেক বেশি। রেমিট্যান্সের গুরুত্ব কখনো কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্সের যে টাকা দেশে আসে এর মধ্যে দেড় থেকে ২ শতাংশ আর্থিক খাতে বিনিয়োগ হয়। বিনিয়োগে আরো অর্থায়ন আসা দরকার। দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের যে সমস্যা সেটা আমাদের জানালে সমাধান করা হবে। সমস্যা জানালে ব্যাংকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

আর যেখানে সরকারের সহযোগিতা দরকার সেটা করা হবে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার নিয়ে তিনি বলেন, অর্থপাচার নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। অর্থপাচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক যে সংস্থার সদস্য আমরা তারা দুই থেকে তিনবার পর্যালোচনা করেছে। তারা দেখেছে, সন্ত্রাসবাদের জন্য আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয় না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দেশের টাকা ফিরিয়ে আনা হবে। এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে, যেন দেশের টাকা বাহিরে না যায়। প্রবাসীদের সম্পদ দখল নিয়ে মশিউর রহমান বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে সম্পত্তি বেদখল হতে দেখা যায়। আমি মাঝেমধ্যে শুনি আমার বাড়িতে আমাদের সম্পত্তিতে অন্যরা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। এটা অনেক সময় দেখা যায় হিংসার কারণে হয়ে থাকে। সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি এয়ারপোর্টে এনআরবিদের হয়রানি কমেছে। আমরা কিছু কিছু ভালো কাজ করতে পারিনি। দেখা গেছে কিছু প্রবাসী দেশে বিনিয়োগ করেছে, তাদের আমরা জেলে পাঠিয়েছি। আবার প্রবাসীদের বাড়ি দখল করা হয়েছে। প্রবাসীদের সম্পদ দখল আগামীতে কমে যাবে বলে আমি মনে করি।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী। তিনি বলেন, যখন যারা ক্ষমতায় থাকেন দেখা যায় প্রবাসীদের সম্পদ দখল করছেন প্রভাবশালীরা। প্রবাসীরা বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী, তাদের ক্ষতি হলে দেশের ক্ষতি হবে। তাদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করা হলে দেশের ব্র্যান্ডিং নয়, বরং বদনাম হবে। প্রবাসীদের কাজে লাগাতে হবে। সমাজ এবং অর্থনীতিতে তাদের স্পেস দিতে হবে। অনুষ্ঠানে কয়েকটি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। তারা জানান, দেশে বিদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে তথা হুন্ডির মাধ্যমে ৫০ শতাংশ টাকা আসে। দেশ থেকে বাহিরে হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা যায় সেটা বন্ধ করা গেলে বাহির থেকেও দেশে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আসা বন্ধ করা যাবে।