চট্টগ্রামেও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে রোজা শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগ থেকেই অস্থির হতে ভোগ্যপণ্যের বাজার। চড়া হতে থাকে পণ্যের দাম। রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য ধনেপাতা থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, মুড়িসহ সবকিছুরই দাম হতে থাকে ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন, কাজীর দেউড়ি, বহদ্দারহাট বাজারে সারাদিনই ছিল ক্রেতাদের আনাগোনা। বিশেষ করে বিকালের পর অফিস ফেরত ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। একটু কমে পণ্য কেনার আশায় এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঢুঁ মেরেছেন। সব বাজারেই ক্রেতাদের রোজা শুরুর আগের দিনে ইফতার সামগ্রীর কিনতে গিয়েই ত্রাহি অবস্থা। তবে এতে ক্রেতাদের পকেটে সাশ্রয় খুব একটা হয়নি। অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম না কমলে তাদেরও দাম কমানোর সুযোগ নেই। তাই দাম কমানোর জন্য যা করতে হবে পাইকারি বাজারের আড়তেই করতে হবে। ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান আসতেই সব পণ্যেই অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। বড় থেকে সব বাজারেই পণ্যের একই দাম। এজন্য তারা দুষছেন বাজার সিন্ডিকেটকে। এজন্য তারা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ইফতারের শরবতে বহুল ব্যবহৃত লেবুর প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ভালো মানের শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে খিরা। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি ধনেপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে ছোলা কেজিতে ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা, মটর ডাল ৮০ থেকে ৮৩ টাকা, মসুর ১৩৫ টাকা, খেসারি ১৩০ টাকা, ছোলার ডাল ৯৮ থেকে ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইফতারের অন্যতম অনুসঙ্গ মুড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা, চিড়া ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, রসুন ও আদা ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারেও স্বস্তি নেই ক্রেতাদের। এখানে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক কেজি গরুর মাংস। খাসির মাংসের দাম কেজিতে হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০৫ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা এবং ফলের বাজারেও লেগেছে আগুন। আপেল কেজিপ্রতি ৩৫০ টাকা, কমলা মানভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, আঙ্গুর ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, তরমুজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।