ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা

সংশোধন হলো খেজুরের নাম

সংশোধন হলো খেজুরের নাম

‘নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ঠিক করে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ এর নাম সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভুলের কারণে ক্ষমা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ভুলের জন্য ক্ষমা চান। এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর নাম ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই।

এরমধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্টগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলবো যে বড়ই ভুল আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।’ আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমাদের ভুলত্রুটি যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই...আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দেওয়া। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া। যেহেতু তারা গরিমসি করছিল, আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে তাই তাড়াহুড়ায় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত