হাটবাজার ইজারা
রামুতে ৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এএইচ সেলিম উল্লাহ, কক্সবাজার
কক্সবাজারের রামুতে ১৫টি হাট বাজারের মধ্যে ১৩টি হাটবাজারের ইজারা সম্পন্ন করেছে। উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় দুটি হাট বাজারের ইজারা সম্পন্ন হয়নি। তবে দ্রুততর সময়ের মধ্যে উপযুক্ত ইজারাদার পাওয়া সাপেক্ষে বাজার দুটির ইজারা সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) নিরুপম মজুমদারের নেতৃত্বে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদনকারী ইজারাদারদের নিয়ে জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৩টি বাজারের ইজারা সম্পন্ন করা হয়। ১৩টি বাজার প্রায় ৭ কোটি টাকায় ইজারা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সর্বোচ্চ দামে ইজারা হয়েছে গর্জনীয়া বাজার। বাজারটি ৩ কোটি ৯ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। রামুর ১৫টি হাটবাজার ইজারার মাধ্যমে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব পেয়ে থাকে। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত নিরূপম মজুমদার জানান, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের জন্য রামু উপজেলার ১৫ টি হাট বাজারের ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে গতকাল ১৩টি হাটবাজারে ইজারা সম্পন্ন করা হয়েছে উপযুক্ত ইজারাদার পাওয়ার কারণে। দুইটি বাজারে উপযুক্ত ও নির্ধারিত মূল্য না পাওয়াই ইজারা সম্পন্ন করা যায়নি। উপযুক্ত ইজারাদার পেলে শিগগিরই ইজারা সম্পন্ন করা হবে। ইজারা না হওয়া বাজার দুটি হল কাউয়ারখোপ বাজার এবং, ধেছুয়াপালং বাজার। উপযুক্ত দরদাতা পাওয়ায় ইজারা সম্পন্ন করা ১৩টি বাজার হলো ঈদগড় বাজার, গর্জনীয়া বাজার, রামু ফকিরা বাজার, রাজারকুল বাজার, জোয়ারিয়ানালা বাজার, রশিদনগর মামুন মিয়ার বাজার, উত্তর মিঠাছড়ি বাজার, হিমছড়ি বাজার নতুন বাজার, পানের ছড়া বাজার, পশ্চিম উমখালী বাজার, রাজারকুল পাঞ্জেগানা বাজার এবং মিঠাছড়ি কাঠির মাথা বাজার। রামুর ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে বাজার গুলোর চমৎকার সমন্বয় থাকায় উক্ত ১৫টি বাজারের ইজারা থেকে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত নিরূপম মজুমদার আরো জানান, ঐতিহ্যবাহী ১৫টি বাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে ইজারা হয়েছে গর্জনীয়া বাজার। সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গরু মহেশ অনুপ্রবেশের কারণে বাজারটি বছরজুড়ে আলোচনাই থাকে। তবে এবারে গজর্নীয়া বাজারের কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। বাজারটি ইজারা নিয়েছেন সদরের খরুলিয়ার কেবি ইউনিট অ্যাগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা সর্বোচ্চ দর দিয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা এর সাথে যোগ হবে সরকারি ট্যাক্স, আইটি জামানত ৭১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সরকারি রাজস্ব এবং ইজারামূল্য মিলে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকায় বাজারটির ইজারা সম্পন্ন করা হয়েছে। বাজারটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ছিলেন শফিকুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী।
১৪৩১ বাংলা সনের জন্য গর্জনিয়া বাজারটির ইজারা নেয়া প্রতিষ্ঠান কেবি ইউনিট অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক কেএম রহিম উদ্দিন জানান, বাজারটি আমরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দামে ইজারা নিয়েছি। অনেক কষ্টে যেহেতু বাজারটি নিয়েছি বাজারের শৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি কোন ধরনের সীমান্ত থেকে পাচার হওয়া গরু মহিষ এই বাজারে যেন অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সমস্ত শর্ত মেনে বাজার পরিচালনা করার চেষ্টা করব। উল্লেখ, জেলার কোরবানির পশুর হাট, কাচা তরকারি ও শীতকালীন সবজির জন্য বিখ্যাত রামু উপজেলার হাটবাজারসমূহ। জেলার এক-তৃতীয়াংশ সবজির জোগান রামুর হাটবাজার থেকে আসে। ফলে বাজারসমূহ ইজারাতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ব্যবসায়ীরা।