ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার রয়েছে বহু দর্শনীয় স্থান। এমনই একটি স্থাপনা রতনপুর জমিদার বাড়ি। জমিদার বংশের শেষ নিদর্শন বাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে বিষন্ন মৌনতায়। অযত্ন আর অবহেলায় এখন ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। দর্শনার্থীরা জমিদার বাড়ির ভগ্নাংশ দেখে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে জমিদার বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সব রকম প্রচেষ্টা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা প্রশাসন।
বিরামপুর শহর হতে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। জানা যায়, বিরামপুরসহ আশপাশে অঞ্চলগুলোতে প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করার জন্য অষ্টাদশ শতকে ব্রিটিশরা ফুলবাড়ি জমিদারের পক্ষে রাজকুমার সরকারকে রতনপুর কাচারিতে পাঠান। সাধারণ খাজনা আদায়কারী থেকে জমিদার বনে যান তিনি। পরে তিনি বিলাসবহুল সুদৃশ্য দ্বিতল অট্টালিকা নির্মাণ করেন। কিন্তু তার এ সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তার এক ছেলে রতন পানিতে ডুবে মারা যায়।
পরে তার অন্য ছেলে রখুনি কান্ত বাবু জমিদার হন। ‘৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে রখুনি কান্ত বাবু সস্ত্রীক কলকাতায় পাড়ি জমান। বর্তমানে রখুনি কান্ত বাবুর জমিদার বাড়ির পাশে রয়েছে ইসলামিক মিশন, মাদ্রাসা, মসজিদ, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানসহ বিশাল একটি পুকুর। রখুনি কান্ত বাবুর ১২০০ বিঘা জমি ফলদ, বনজ ও ওষধি বাগান রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির অভাবে অনেক সম্পত্তি বিলীন ও বেদখল হয়ে গেছে। শুধু বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যুগ যুগ ধরে এই জমিদার বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার না করায় তা ধ্বংস হতে চলছে। এটি সংস্কারের মাধ্যমে প্রত্নত্তাত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ করার দাবি এলাকাবাসীর। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ‘জমিদারবাড়িটি উপজেলা প্রশাসন থেকে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।