বর্তমান ব্যস্ত জীবনে স্ট্রেস আমাদের জীবনের যাত্রায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সঙ্গী হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সম্পর্ক, ব্যক্তিগত ও পেশাগত দায়িত্বের চাপ আমাদের সহজেই আবিষ্ট করতে পারে। কোন কারণগুলোর ফলে স্ট্রেস বেড়ে যেতে পারে সেগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। আপনিও যদি এ ধরনের সমস্যার মধ্যদিয়ে যেতে থাকেন তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, পাঁচ মিনিটেই কীভাবে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করবেন- ১. গভীর নিঃশ্বাস : আপনার নিঃশ্বাসের প্রতি মনোযোগ দিন। ধীরে ধীরে গভীর নিঃশ্বাস নিন। এই পদ্ধতিটি আপনার শরীরে আরও অক্সিজেন প্রবেশ করতে এবং আপনার মনকে শিথিল করতে সাহায্য করবে। ২. হাইড্রেশন : পানির অভাবে আমাদের শরীরে অনেককিছুই ঘটতে পারে। যার প্রভাব পড়ে আমাদের মন-মেজাজেও। শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে স্ট্রেসও। তাই নিয়মিত বিরতিতে পানিতে চুমুক দিলে আপনি হাইড্রেটেড এবং শিথিল থাকবেন। ৩. লিখে রাখা : কাগজে কলম রাখুন এবং আপনার মনে কী আছে এবং কীভাবে এটি আপনার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে তা ক্যাপচার করুন। লেখার এই অভ্যাস আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে এবং মনের ভেতরে চলতে থাকা বকবক কমাতে সাহায্য করবে। ৪. হাঁটাচলা করুন : আপনার মন শান্ত করতে আপনার শরীর ব্যবহার করুন, হাত-পা প্রসারিত করুন, আপনার শারীরিক ভঙ্গী পরিবর্তন করুন, হাঁটাচলা করুন। এক জায়গায় একইভাবে দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না। এমনিতে এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকলে তা শরীরেও নানা ক্ষতি করে। ৫. কথা বলুন : আপনি একা এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাবেন না, বরং একজন ভালো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। হতে পারে সে আপনার পরিবারের কেউ, হতে পারে সহকর্মী কিংবা সহপাঠী। যে আপনাকে ভালো বুঝতে পারে তাকে মন খুলে কথাগুলো বলুন। আপনার মনের ভেতরে কী চলছে তা তাকে বুঝিয়ে বলুন। এতে আপনার মন অনেকটাই হালকা হবে। ৬. পাওয়ার ন্যাপ : ভালোভাবে কাজ করা এবং উৎপাদনশীল হওয়ার জন্য বিশ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত ঘুম আপনাকে চাপ ঝেড়ে ফেলতে এবং শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে। তাই স্ট্রেস দূর করার জন্য ছোট্ট একটি পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারেন। ৭. প্রকৃতিতে সময় কাটান : আপনার আশপাশের বাগান বা সবুজ মাঠে হাঁটাহাঁটি করে আসতে পারেন। এতে আপনার মনের ভেতরে চলতে থাকা অস্থিরতা দূর হবে অনেকটাই। বাসায় ফিরে দেখবেন, অনেকটাই সতেজ লাগছে। তাই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে এই কাজ করতে পারেন।