রিমান্ড শেষে কারাগারে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, এক দিনের রিমান্ড শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ডে দ্বীন ইসলাম কিছু তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রয়োজনে আরও রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল ৩টার দিকে প্রথম জানাজা এবং পৌনে ৪টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় অবন্তিকাকে।
নিহত অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকার মরহুম জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা মরহুম জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল তার বাবা অধ্যাপক জামাল উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। অবন্তিকার এক মাত্র ছোট ভাই রয়েছে। তার নাম জারিফ জাওয়াদ অপূর্ব। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে অপূর্ব।
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর শুক্রবার রাতে তার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে দুজনকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার (১৮ মার্চ) তাদের আদালতে তোলা হলে আদালত অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দুই দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।