সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে সেই মানসিক ভারসম্যহীন নারীর জন্ম দেয়া নবজাতক কন্যাসন্তানকে লালন-পালনে পাঁচ দত্তক আবেদন করেছেন। এ নবজাতক শিশুকে দত্তক নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন উপজেলা শিশু সুরক্ষাবিষয়ক কমিটির সভাপতি ইউএনও বরাবর। আজ বুধবার সকালে এ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে আইনগতভাবে ওই শিশুকে দত্তক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই ভারসাম্যহীন নারী (৩০) গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে ওই স্টেশনে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন। এর আগে তিনি তাড়াশ পৌর এলাকায় বসবাস করতেন। গত সোমবার বিকালের দিকে তার প্রসব ব্যথা ওঠে। তার প্রসব ব্যথার যন্ত্রণা দেখে স্থানীয়রা এক অভিজ্ঞ নারীকে খবর দেন। তিনি চেষ্টা করেও তার সন্তান প্রসব করাতে ব্যর্থ হন এবং রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে নরমাল ডেলিভারিতে তিনি একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তবে শিশুটির বাবার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি এবং মানসিক ভারসম্যহীন মায়ের পক্ষে এ সন্তান লালন-পালন করা সম্ভব নয়। কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, রাতে প্রসব ব্যথা অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। নার্সদের সহযোগিতায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন সুলতানা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই দিন রাতে এ ঘটনা জানার পরই মা ও তার নবজাতক শিশুকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে এবং নিজে গিয়ে ওই প্রসূতি মা ও শিশুর খোঁজখবর রাখছি। বর্তমানে তারা দুইজনই সুস্থ আছেন এবং নবজাতককে কোলে নিয়ে আদরও করেছি। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ শিশুকে দত্তক নেয়ার জন্য পাঁচজন আবেদন করেছেন। আগামীকাল (আজ বুধবার) সকালে উপজেলা শিশু সুরক্ষাবিষয়ক পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির বৈঠক হবে। এ বৈঠকে দত্তক দেয়ার ব্যাপারে আইনগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
