জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল ও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন’। সম্প্রতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে নতুন করে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি (এককালীন) ৬ হাজার টাকাসহ মোট ১৪ হাজার ১৮৯ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেয্য ফি বাতিলসহ তিন দাবিতে গতকাল দুপুর ১টায় এ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীর। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তারা তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন।
তাদের তিন দাবিগুলো হলো- বিভাগগুলোর প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দাও, শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিল করো। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, অটোমেশন পদ্ধতি চালু করো। অপ্রয়োজনীয় ২৭০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত পাঠাও।
সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী জাবি শাখার সংগঠক সোমা ডুমরির সঞ্চালনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের (একাংশ) সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে এখন নতুন নতুন মোড়কে ফি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এই মোটা অঙ্কের ফি নিম্নবিত্ত ও মেহনতি মানুষের বহন করা কষ্টসাধ্য। আমরা মনে করি, প্রশাসনের অতিরিক্ত ফি আদায় দুরভিসন্ধিমূলক প্রচেষ্টা। যার মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সজিব আহম্মেদ জেনিচ বলেন, নামে-বেনামে ফি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বর্তমানে ভর্তিতে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকা নেওয়ার ফলে ১৪ হাজার টাকার বেশি ভর্তি ফি দাঁড়িয়েছে। এর মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো বিভাগ উন্নয়ন ফি পায় না, সেজন্য তারা এই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে। আবার স্বাস্থ্য বিমার জন্যও আলাদা ফি নিচ্ছে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী আদৌ স্বাস্ব্য বিমা করবে কি করবে না সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু প্রশাসন কীভাবে জোরপূর্বক ফি ছাপিয়ে দেয়? এভাবে তারা বিভিন্ন নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।’